দালান এর নোনা ধরা প্রতিরোধ ও প্রতিকার
পুষপায়ন বা নোনা হল ইট বা পাথরের তৈরী দেয়ালে সাদা সাদা লবনের অধঃক্ষেপ যা দেয়ালের সৌন্দর্য ও স্থায়িত্ব নষ্ট করে। Merriam Webster’s Collegiate Dictionary মতে পুষপায়ন (Efflorescence) বা দালানের নোনা হল দ্রবনীয় লবনের দ্রবন হতে পানির বাস্পীভবনের ফলে দালানের দেয়ালে লেপ্টে থাকা লবনের অধঃক্ষেপ। সাধারনতঃ দীর্ঘ দিন ধরে আদ্র জলবায়ু, প্রবল বৃষ্টিপাত ও গাঁথুনিতে জমা পানির প্রভাবেই নোনা ধরে। পুষ্পায়ন বা নোনা শুধুমাত্র নির্মাণ সামগ্রীতে দ্রবনীয়র লবনের উপস্থিতির ফল নয়, তার সাথে নানা কারন জড়িত। প্রকৃত পক্ষে যে অবস্থানের উপর নির্মাণ কাজ হবে এবং যে নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহৃত হবে তার উপর অনেকাংশে নোনা ধরা নির্ভরশীল।
সাধারণতঃ মাটিতে বা নির্মাণ সামগ্রীতে নিম্নলিখিত লবন সমূহের উপস্থিতি থাকলে পুষপায়ন বা নোনা সৃষ্টি হয়ে থাকে। যেমন-সোডিয়াম সালফেট, ক্যালসিয়াম কার্বনেট, ক্যালসিয়াম সালফেট, সোডিয়াম কার্বনেট, ম্যাগনেসিয়াম সালফেট ইত্যাদি। তাছাড়া ক্লোরাইড ও নাইট্রেট লবন সমূহ এবং ভ্যানাডিয়াম, ক্রোমিয়াম ও মলিবডেনাম লবন সমূহের উপস্থিতি দেয়ালে সবুজ নোনা সৃষ্টি করে থাকে এবং অন্যান্য লবন সমূহ সাদা অথবা ধূসর বর্ণের নোনা সৃষ্টি করে।
প্রকারভেদ: পুষপায়ন বা নোনা সাধারনত দুই ধরনের হয়ে থাকে যথা-(১) অস্থায়ী পুষপায়ন বা নোনা, যা সহজেই ব্রাশ দিয়ে ঘষে বা পানি দিয়ে ধুয়ে পরিস্কার করা যায়। (২) স্থায়ী পুষপায়ন বা নোনা, যা সহজেই ব্রাশ দিয়ে ঘষে কিংবা পানি দিয়ে পরিসকার করা যায় না। সাদা পাউডারের মত দেয়ালের গায়ে বা কাঠামোতে লেপ্টে থাকে। দালানের নোনা ধরা একটি সময় সাপেক্ষ সমস্যা এবং ঋতুর সঙ্গে সম্পর্ক যুক্ত। তাই নোনা প্রতিরোধক ব্যবস্থা দালান তৈরীর অংশ বলে গণ্য করা উচিত।
ক্ষতিকর প্রভাব: * নোনা ধরার ফলে অস্বাস্থ্যকর অবস্থা সৃষ্টি হয়,
- ছোপ-ছোপ দাগ প্লাষ্টার এমনকি চুনকামেও ঢাকা পড়ে না,
- নোনার সংস্পর্শে কাগজপত্র, কাপড়-চোপড়,কাঠ ইত্যাদি তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়,
- প্লাষ্টার নরম হয়ে করে খসে পড়ে,
- সর্বোপরি দালানের সৌন্দর্যহানী ঘটে,
কারন সমূহ: নানা কারনে নোনা ধরতে পারে, তবে নিম্নলিখিত কারনই প্রধান
- মেঝে ও বুনিয়াদ দেয়ালে সঠিক ভাবে সিক্ততা নিরোধক স্তর না বসানোর ফলে,
- সুষ্ঠ পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার অভাবে,
- পর্যাপ্ত আলো-বাতাস চলাচলের সুযোগ না থাকলে,
- গাঠনিক ত্রুটিজনিত কারনে,
- বাড়ী তৈরীর সময় স্বল্প পোড়ানো ইট ব্যবহৃত হলে,
- বাড়ী তৈরীর উপকরণ যেমন- ইট, বালি,সিমেন্ট, পানি প্রভৃতির মধ্যে লবনের পরিমান ২.৫% এর বেশী হওয়ার কারনে,
- প্লাষ্টারের নিচে পানির লাইনের অবস্থান হলে,
- দেয়ালের যে সব অংশে রোদ কম পড়ে সেসব জায়গা অপেক্ষাকৃত ঠান্ডা থাকায় বাতাসের জলীয় বাষ্প ঘনীভূত হয়ে বিন্দু বিন্দু পানিরূপে দেয়ালে জমা হতে থাকে এবং প্লাষ্টার বা ইটের অভ্যন্তরে যে সব লবন থাকে তা দ্রবীভূত করে নোনা ধরায় সাহায্য করে।
প্রতিরোধ: নোনা প্রতিরোধ করার জন্য বাড়ী তৈরীর আগে ও বাড়ী তৈরীর সময় বিশেষ যত্নবান হওয়া উচিত। কারণ বাড়ী তৈরীর উপকরণ, বাড়ীর অবস্থান, গাঠনিক ত্রুটিজনিত কারন, বাড়ীর আর্দ্রতা ও তাপমাত্রা প্রভৃতির উপর অনেকাংশেই নোনা ধরা নির্ভরশীল। তাই নোনা প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা অবশ্যই গ্রহণ করা উচিত। সাধারনতঃ দুই ভাবে নোনা ধরা প্রতিরোধ করা যায়, যেমন-
(ক) স্বাভাবিক উপায়ে।
(খ) কৃত্রিম উপায়ে।
- স্বাভাবিক উপায়ে:
১. সুষ্ঠ পানি নিষ্কাশনী ব্যবস্থার মাধ্যমে: যে সব জমির পানি নিষ্কাশনী ব্যবস্থা নেই বা পানি নিষ্কাশনী ব্যবস্থা ভাল নয়, সেখানেই বুনিয়াদ বা কাঠামো স্যাঁতস্যাঁত হয়ে উঠার সম্ভাবনা বেশী। সেজন্য বাড়ীর চারপাশে ভাল ড্রেনের ব্যবস্থা রাখতে হবে, ড্রেনের ঢালকে বাড়ী থেকে দূরে নিয়ে পানি ফেলে দিলে বুনিয়াদের তলে পানি জমতে পারবে না। মেঝে বা কাঠামোকে পানিনিরোধক করার জন্য নির্মাণ কালে বিশেষ যত্নবান হতে হবে।
ছাদে সঠিক ঢাল রাখতে হবে, যাতে বৃষ্টির পানি তাড়াতাড়ি রেইন ওয়াটার পাইপ দিয়ে বের হয়ে যেতে পারে। এছাড়া বৃষ্টির ঝাপটা থেকে রক্ষার জন্য দেয়ালে সানশেডের প্রয়োজন। আমরা জানি যে ইটের পানি ধারণ ক্ষমতা খুবই বেশী। কাজেই বৃষ্টির পানি থেকে দেয়ালকে যতদুর সম্ভব দূরে রাখতে হবে। ইটের গাথুনির ফ্লাশ পয়েন্টিং করলে অতিরিক্ত পানি দেয়ালের গায়ে জমা হতে পারে না। অনেক সময় ছিদ্রযুক্ত দেয়াল (Cavity wall) দ্বারাও আর্দ্রতা দূর করা যায়।
২. প্রয়োজনীয় আলো-বাতাস চলাচলের মাধ্যমে: বাড়ী তৈরী হলে দেখা যায়, কোন কোন দেয়াল বেশী রোদ পাচ্ছে আবার কোন কোন দেয়াল কম রোদ পাচ্ছে। যেসব দেয়াল রোদ কম পাচ্ছে এবং বৃষ্টির পানি বেশি পড়ে, সে যায়গায় স্যাঁতস্যাঁতে ভাব দেখা দেবার সম্ভাবনা বেশী। তাই নকসা তৈরী করার সময় খেয়াল রাখতে হবে যে, যেসব দিকের দেয়ালের কম রোদ আসে সেসব দিক যেন খোলা বেশী থাকে যাতে বাতাস চলাচলের মাধ্যমে স্যাঁতস্যাঁতে ভাব দ্রুত দূর হয়ে যায় এবং নোনা ধরার সুযোগ তৈরী না হয়। বাড়ীতে বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা রাখার জন্য জানালা,দরজা মুখোমুখি বানাতে হবে যেন বাতাস প্রবাহের ব্যাঘাত সৃষ্টি না ঘটে। গরম কালে যাতে সূর্য তাপ কম পায় এবং শীতকালে সর্বাধিক সূর্যতাপ আসে সেদিকে খেয়াল রেখেই বাড়ীর অবস্থান ঠিক করা উচিত।
- কৃত্রিম উপায়ে
১. গাত্রক পানি নিরোধক ব্যবস্থার মাধ্যমে: এই ব্যবস্থা দুই ভাবে হতে পারে, যেমন- বাইরের দিকের গাত্র এবং ভিতরের দিকের গাত্র। যেহেতু বাইরের দিক হতেই পানি বুনিয়াদ বা কাঠামোতে প্রবেশ করে সেজন্য বাইরের দিকের গাত্রক ব্যবস্থা ভিতরের দিকের গাত্রক ব্যবস্থা চেয়ে বেশী কার্যকরী। বাইরের দিকের গাত্রের সিক্ততা নিরোধক করার সহজতম ব্যবস্থা হচ্ছে, ইটের জোড়াই মুখগুলো খুলে পয়েণ্টিং করা এবং পরে ভাল করে প্লাষ্টার করা। ভিতরের দিকে প্লাষ্টারের উপর সাধারণতঃ মোম বা সিলিকেট দ্রবন লাগানো হয়। তবে এই ব্যবস্থা ২-৩ বছর পর পর করতে হবে।
২. পানি নিরোধক আচ্ছাদন সংযোজনের মাধ্যমে: এই ব্যবস্থায় সিক্ততা প্রতিরোধক স্তর বসানো হয়। সাধারণতঃ বিটুমিন শীট, প্লাষ্টিক শীট, মেটাল শীট. ম্যাষ্টিক এ্যাসফাল্ট ইত্যাদি সিক্ততা প্রতিরোধক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
৩. অন্তস্থক পানি নিরোধক ব্যবস্থার মাধ্যমে: এই ব্যবস্থায় কংক্রিটের সংগে বা সিমেন্ট বালি মস্লার সাথে পানি নিরোধক যৌগ মিশিয়ে পানি প্রতিরোধকতা সৃষ্টি করা হয়। লক্ষ্য করা যায় যে, অন্তস্থক পানি নিরোধক ব্যবস্থাই সবচেয়ে কার্যকরী এবং নোনা ধরা প্রতিরোধ করার জন্য অধিকতর উপযোগী। যেহেতু স্যাঁতস্যাঁতে ভাব হতেই নোনা ধরার উৎপত্তি, সুতরাং যে প্রকারেই হোক বাড়ীর কাঠামো বা দেয়াল সম্পূর্ণরূপে পানি নিরোধক করলেই নোনা ধরা প্রতিরোধ করা সম্ভব। এই পদ্ধতিতে সিমেন্ট বালি বা মর্টারের সাথে সোডিয়াম সল্ট অব ফ্যাটি এসিড্স, ষ্টিয়ারিক এসিড, পালমিক এসিড ইত্যাদি সংযোগ করতে হয়।
প্রতিকার: দালানের নোনা ধরার পরিমান ও বিস্তৃতির উপর নির্ভর করে বিভিন্ন পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়। যে কোন পদ্ধতি প্রয়োগ করার আগেই আর্দ্রতার উৎস সনাক্ত করতে হবে, তারপর নোনা দূরীকরণের জন্য সঠিক পদ্ধতির কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। হাউজিং এন্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট দালানের নোনা ধরা প্রতিকারের জন্য H B R I-SP এবং H B R I-DP নামক দুইটি দ্রবন উদ্ভাবন করতে সক্ষম হয়েছে। এদের ব্যবহার বিধি নিম্নে প্রদত্ত হল।
দালানের যে সকল স্থানে নোনা দেখা দিয়েছে সেই সব জায়গার রং, চুন,পুটিং,ইত্যাদির প্রলেপ ভালভাবে সরিয়ে ফেলতে হবে। প্রয়োজন বোধে আক্রান্ত স্থান সমূহ পানি দিয়ে ভালভাবে ধুয়ে নিতে হবে। আক্রান্ত স্থানে H B R I-SP তিন/চার বার এমন ভাবে লাগাতে হবে যে যেন বালি সিমেন্টের আস্তরনটি সম্পূর্ণ ভাবে ভিজে যায়। এক দিন অপেক্ষা করার পর H B R I-SP লাগানোর স্থান সমূহকে পরিস্কার পানি দিয়ে ভালভাবে ধুয়ে নিতে হবে। ভিজা আস্তরণকে ভালভাবে শুকানোর পর চুনকাম, রং, ডিসটেম্পার ইত্যাদি প্রলেপ প্রদান করতে হবে।
দালানোর যে সব স্থানে H B R I-DP প্রয়োগ করতে হবে সেসব জায়গার রং, চুন, পুটিং ইত্যাদির প্রলেপ ভালভাবে সরিয়ে ফেলতে হবে। প্রয়োজনবোধে আক্রান্ত স্থান সমূহ পরিস্কার পানি দিয়ে ভালভাবে ধুয়ে নিতে হবে। শুকনো আস্তরে H B R I-DP এর দ্রবন দিয়ে ভালভাবে ভিজিয়ে দিতে হয়। ৩ ঘন্টা অন্তর ৩/৪ বার H B R I-DP দ্রবণের আস্তর প্রয়োগ করতে হবে। একদিন পর পানি দিয়ে অতিরিক্ত H B R I-DP সরিয়ে ফেলতে হবে। এবং ভালভাবে শুকানোর পর চুনকাম, রং, ডিসটেম্পার ইত্যাদির প্রলেপ প্রদান করতে হবে
Prevention and remediation of building salting
Pushpayan or Nona is the deposit of white salt on brick or stone walls which spoils the beauty and durability of the wall. According to Merriam Webster’s Collegiate Dictionary, efflorescence is the deposition of salts on building walls due to the evaporation of water from a solution of soluble salts. Generally, the salinity is due to the long-term humid climate, heavy rainfall and the water accumulated in the rocks. Efflorescence or salinity is not only a result of the presence of soluble salts in construction materials, but is also associated with various factors. In fact, salting depends to a large extent on the location where the construction will take place and the construction materials used.
Generally, the presence of following salts in the soil or construction materials causes saltation. For example, sodium sulfate, calcium carbonate, calcium sulfate, sodium carbonate, magnesium sulfate, etc. Moreover, the presence of chloride and nitrate salts and salts of vanadium, chromium and molybdenum produce green salts on the walls, and other salts produce white or gray salts.
Types: Pushpayan or Nona are generally of two types namely (1) Temporary Pushpayan or Nona, which can be easily cleaned by brushing with a brush or washing with water. (2) Permanent efflorescence or salt, which cannot be easily brushed off or washed off with water. Coated on walls or structures as a white powder. Building salting is a time-consuming problem and is seasonal. Therefore salt resistance should be considered as part of building construction.
Harmful effects: * Salt exposure causes unhealthy conditions,
- Spots are not covered with plaster or lime,
- Papers, clothes, wood, etc. get damaged quickly in contact with salt.
- Plaster softens and falls off.
- After all, the building loses its beauty,
Causes: There are many reasons for salt retention, but the following are the main ones
- Due to improper installation of damp proofing layer on floor and foundation walls,
- Lack of proper drainage system,
- If there is not enough light and air movement,
- Due to structural defects,
- If low-burnt bricks are used in building,
- Due to the amount of salt in building materials such as bricks, sand, cement, water etc. being more than 2.5%,
- If the water line is located below the plaster,
- Because the parts of the wall where there is less sunlight are relatively cold, the water vapor in the air condenses and accumulates on the wall in the form of water and dissolves the salts inside the plaster or brick and helps to catch the salt.
Prevention: Special care should be taken before building and during building to prevent salt. Because the building materials, location of the house, causes of structural defects, humidity and temperature of the house are largely dependent on saltiness. So salt preventive measures must be taken. Generally there are two ways to prevent salt poisoning, viz.
(a) In the usual way.
(b) By artificial means.
- In the usual way:
- Through proper drainage: Lands with no drainage or poor drainage are more prone to damp foundations. That’s why a good drainage system should be kept around the house, if the drain slope is removed from the house and the water is thrown away, the water will not accumulate under the foundations. Special care must be taken during construction to waterproof the floor or structure.
A proper slope should be kept on the roof, so that the rain water can be drained quickly through the rain water pipe. In addition, sunshades are needed on the walls to protect from rain showers. We know that the water holding capacity of bricks is very high. So the walls should be kept away from rain water as far as possible. Flush pointing of brick masonry prevents excess water from accumulating on the walls. Sometimes moisture can also be removed by cavity walls. - Through necessary light and air movement: When the house is built, it can be seen that some walls are getting more sun and some walls are getting less sun. Walls that receive less sunlight and more rainwater are more likely to develop dampness. Therefore, while making the design, care should be taken that the sides of the walls which receive less sunlight should be more open so that the dampness is removed quickly through air circulation and there is no opportunity for salt to catch. In order to keep the ventilation in the house, the windows and doors should be facing each other so that the air flow is not disrupted. The position of the house should be fixed keeping in mind that the sun gets less heat in summer and maximum sun heat comes in winter.
- By artificial means
- Through gutter waterproofing system: This system can be in two ways, i.e. external gutter and internal gutter. Since water enters the foundation or structure from the outside, an exterior drainage system is more effective than an internal drainage system. The simplest method of damp-proofing the exterior walls is to open the facings of the bricks and point them, and then plaster them well. On the inside the plaster is usually coated with a wax or silicate solution. But this system should be done every 2-3 years.
- By addition of waterproof covering: In this system the moisture resistant layer is placed. Generally: bitumen sheet, plastic sheet, metal sheet. Mastic asphalt etc. are used as damp proof.
- Internal waterproofing system
Remediation: Depending on the amount and extent of building salt exposure, different methods are applied. Before any method is applied, the source of the moisture must be identified, then the proper method for salt removal must be implemented. The Housing and Building Research Institute has been able to develop two solutions, H B R I-SP and H B R I-DP, for the remediation of building salinity. Their usage rules are given below.
Paint, lime, putty, etc. should be thoroughly removed from all the places where salt has appeared in the building. If necessary, the affected areas should be washed thoroughly with water. H B R I-SP should be applied three/four times on the affected area in such a way that the sand cement layer gets completely wet. After waiting for a day, the HBR I-SP application areas should be thoroughly washed with clean water. Coatings such as lime, paint, distemper etc. should be provided after drying the wet layer thoroughly.
Paint, lime, putty etc. coating should be thoroughly removed from the areas where H B R I-DP is to be applied. If necessary, the affected areas should be washed thoroughly with clean water. A dry substrate should be thoroughly soaked with a solution of H B R I-DP. Apply 3/4 coats of HBR I-DP solution every 3 hours. Excess H B R I-DP should be removed with water after one day. And after drying thoroughly, coating of chalk, paint, distemper etc. should be provided