[ad_1]
Reading Time: 3 minutes
প্রপার্টির মালিক হওয়ার পাশাপাশি সঠিক নিয়মে প্রপার্টি দেখাশোনা, নিয়মিত প্রপার্টি মেইনটেনেন্স এর বিভিন্ন দিক পর্যবেক্ষণ, এমনকি ভাড়া দেয়া প্রপার্টির ক্ষেত্রে ভাড়াটিয়াকে সঠিক দিকনির্দেশনা দেয়ার মতো বিষয়গুলোও গুরুত্ব পাবে একইভাবে। এক্ষেত্রে অনেক সময়ই দেখা যায় প্রপার্টির মেইনটেনেন্স খরচ হঠাৎ করেই বেড়ে যাচ্ছে। যা একজন প্রপার্টির মালিকের জন্য বেশ চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। কেননা, প্রপার্টির মেইনটেনেন্স খরচ আর্থিক ভাবে প্রপার্টির মালিককে বেশ ঝামেলার মধ্যেই ফেলে দেয়। আর তাই, প্রপার্টির মেইনটেনেন্স খরচ কমানোর জন্য যে বিষয়গুলো বিবেচনায় রাখা জরুরি, চলুন সে সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক আজকের ব্লগ থেকে।
প্রপার্টির রুটিন চেকআপ
প্রপার্টির মেইনটেনেন্স খরচ কমানোর ক্ষেত্রে প্রপার্টির রুটিন চেকআপ করাতে হবে প্রতি মাসে অন্তত একবার। বিশেষ করে গ্যাস-বিদ্যুতের লাইন, প্রপার্টির নিরাপত্তা জন্য লাগানো সিসি টিভি ক্যামেরা, অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র সহ প্রপার্টি বিষয়ক আনুষঙ্গিক প্রতিটি দিকই নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা উচিত। এতে করে একদিকে প্রপার্টির মালিক যেমন আপডেটেড থাকতে পারবেন, তেমনি যেকোনো ধরনের দুর্ঘটনা এড়িয়ে চলা সম্ভব হবে।
এছাড়া প্রপার্টির ভেতরের এবং বাহিরের বিভিন্ন দিক যেমন- বাড়ির দেয়ালের রঙ, পানির লাইন, রিজার্ভ ট্যাংক পরিষ্কার করা সহ গাড়ি পার্কিং এরিয়া থেকে শুরু করে ভাড়া দেয়া প্রপার্টির বিভিন্ন দিক নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করার মাধ্যমে প্রপার্টির মেইনটেনেন্স খরচ কমানো সম্ভব। কেননা, রুটিন চেকআপে থাকলে হুট করেই বড় ধরনের কোন বিপত্তি বা দুর্ঘটনার সম্ভাবনাও যেমন কমে আসবে, তেমনি হঠাৎ করে অতিরিক্ত কোন খরচও হবে না।
প্রপার্টি মেইনটেনেন্স এর জন্য দক্ষ লোক নিয়োগ
অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় প্রপার্টির কোন কিছু মেরামত করতে অতিরিক্ত খরচ বাঁচাতে প্রফেশনাল কোন কর্মী নিয়োগ না করে অদক্ষ কাউকে কাজের দায়িত্ব দেয়া হয়। এতে করে খরচ কমানো তো হয়ই না, বরং বাজেটের অতিরিক্ত খরচ হয়ে যায়। আর তাই এই বিষয়টি ম্যানেজ করার সবচেয়ে প্রধান ধাপই হল প্রপার্টি মেইনটেনেন্স বিষয়ক যেকোনো কাজের জন্য শুরুতেই দক্ষ লোক নিয়োগ করুন। এতে করে অপ্রয়োজনীয় খরচ কমে আসবে।
প্রপার্টির মেইনটেনেন্স বাবদ বাজেট নির্ধারণ
প্রপার্টি মেইনটেনেন্স খরচ কমানোর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হচ্ছে আগেভাগেই প্রপার্টি মেইনটেনেন্সের এর পেছনে আপনার কত টাকা খরচ পড়ছে তার একটি আনুমানিক হিসাব রাখা। কেননা, আপনার যদি খরচের কোন হিসাবই না থাকে, তবে তা বৃদ্ধি পাচ্ছে, নাকি কম হচ্ছে, এর হিসাবনিকেশ করা বেশ ঝামেলাপূর্ণ মনে হবে।
আর তাই প্রপার্টির মেইনটেনেন্স বাবদ একটি বাজেট নির্ধারণ করে রাখুন। তা হতে পারে মাসিক হারে কিংবা বাৎসরিক ভাবে। এতে করে হঠাৎ করে প্রপার্টির মেইনটেনেন্স বাবদ যদি আপনার অনেক খরচও হয়ে যায়, তবে তা আপনি কীভাবে কমিয়ে আনবেন, বা বিগত মাস থেকে এই খরচ কতটা বেশি, তা সহজেই নির্ণয় করতে পারবেন।
প্রপার্টিতে উন্নতমানের ম্যাটেরিয়াল ব্যবহার
কোন বাড়ি নির্মাণের জন্য কেমন ম্যাটেরিয়াল ব্যবহার করা হচ্ছে, তার উপর অনেকাংশেই নির্ভর করবে কিছু দিন পরপরই প্রপার্টির মেইনটেনেন্স এর প্রয়োজন হবে কী, হবে না। যেমন ধরুন, উন্নত এবং টেকসই ম্যাটেরিয়াল ব্যবহারের ফলে প্রপার্টি যতটা দীর্ঘ সময় ধরে এর স্থায়িত্ব ধরে রাখতে পারবে, ঠিক তার বিপরীত হবে যদি যেমন-তেমন জিনিস বাড়ি নির্মাণের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। ধরুন বাড়ি ভাড়া দেয়া হবে এই ভেবে যদি ভালো মানের ম্যাটেরিয়াল ব্যবহার না করে, কিচেন কেবিনেট, ফসেট কিংবা টাইলসের জন্য সস্তা ম্যাটেরিয়ালের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই এগুলো নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে, ফলে প্রপার্টির মালিক হিসেবে আপনাকেই প্রপার্টির মেইনটেনেন্স খরচ বহন করতে হবে। আর তাই ভবিষ্যতে প্রপার্টির মেইনটেনেন্স খরচ যেন কম হয়, এর প্রস্তুতি আগেই নেয়া জরুরি।
প্রপার্টি রক্ষণাবেক্ষণের বিষয়ে ভাড়াটিয়াকে যথাযথ নির্দেশনা
আপনার প্রপার্টি যদি ভাড়া দেয়া থাকে, তবে বাড়ি ভাড়া দেয়ার আগেই প্রপার্টি রক্ষণাবেক্ষণের বিষয়ে ভাড়াটিয়াকে যথাযথ নির্দেশনা দিয়ে রাখুন। এতে করে প্রপার্টি মেইনটেনেন্সের বিষয়ে ভাড়াটিয়া সতর্ক হবে। ফলে ক্ষয়ক্ষতি কম হবে, এতে করে প্রপার্টির মেইনটেনেন্স খরচও কমে আসবে অনেকাংশেই।
প্রপার্টির মালিকানার দায়িত্ব যেমন বেশ বড় একটি বিষয়, তেমনি প্রপার্টির মেইনটেনেন্স খরচ নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য উপরে উল্লেখিত ৫টি টিপস অনুসরণ করে আপনিও প্রপার্টির মেইনটেনেন্স খরচ কমাতে পারবেন খুব সহজেই।
[ad_2]